প্রশ্ন ১: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলতে কী বোঝো? ব্যাকরণিক শব্দ কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর : ব্যাকরণগত অবস্থনের ভিত্তিতে বাংলা
ভাষার শব্দসমূহকে যে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাকেই ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে। ব্যাকরণিক শব্দ আট প্রকার। যথা—
ক. বিশেষ্য : যে শব্দ দ্বারা কোনো
ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গোষ্ঠী, সমষ্টি, গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন—থালা, বাটি, টাকা, ঢাকা, ছাগল, বাঁশ, মাছ, দয়া, মায়া, সততা।
খ. সর্বনাম : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে
শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। যেমন—উর্মি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে।
কলেজে তার উপস্থিতি নিয়মিত। তাকে সব শিক্ষক আদর করেন। এখানে সে, তার, তাকে সর্বনাম।
গ. বিশেষণ : যে শব্দ দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার
দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাপ ইত্যাদি
প্রকাশ পায়, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন— নীল আকাশ, সবুজ বাংলা, প্রথম স্থান, দশ কেজি, শান্ত নদী।
ঘ. ক্রিয়া : যে শব্দ দ্বারা কোনো
কিছু করা, হওয়া, ঘটা ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন—অনয় কাঁদছে। শিউলি ফুল তুলছে।
বৃষ্টি হবে।
ঙ. ক্রিয়া বিশেষণ : যে শব্দ বাক্যের
ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—গাড়িটি দ্রুত চলতে শুরু করল। অনিম জোরে হাঁটে। সামিয়া
গুনগুনিয়ে গান গাইছে।
চ. আবেগ শব্দ : যে শব্দ বাক্যের অন্য
শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশ করে, তাকে আবেগ শব্দ
বলে। যেমন—হায়! এটা তুমি কী করলে! উঃ! কী অবস্থা! বাহ্! কী সুন্দর
দৃশ্য।
ছ. যোজক : যে শব্দ একটি বাক্যাংশের
সঙ্গে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের
সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। যেমন—সারা দিন বৃষ্টি হলো তবুও গরম
গেল না। তুমি খাবে আর তামান্না পড়বে। ব্যাগটা শক্ত করে ধরো, নইলে পড়ে যাবে।
জ. অনুসর্গ : যে শব্দ কখনো স্বাধীনরূপে, আবার কখনো বা শব্দবিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ
প্রকাশে সাহায্য করে, তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন—দিনের পরে রাত আসে। রান্নার জন্য রাঁধুনি ব্যাকুল।
প্রশ্ন ২: বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে।।
বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে।
বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার
১. সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থ বিশেষের নাম
বিজ্ঞাপিত হয়, তাকে সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য বলে। যথা নজরুল, ওমর, আনিস, মাইকেল
২. জাতিবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো একজাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম
বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন— মানুষ, গরু, পাখি, গাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।
৩. বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক
বিশেষ্য: যে পদে কোনো উপাদানবাচক পদার্থের
নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। এই জাতীয় বস্তুর সংখ্যা ও পরিমাণ
নির্ণয় করা যায়। যথা— বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি, লবণ, পানি।
৪. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে পদে বেশকিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তা-ই সমষ্টিবাচক
বিশেষ্য। যথা- সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিল, ঝক, বহর, দল।
৫. ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত
হয়, তাকে ভাববাচক
বিশেষ্য বলে। যথা— গমন (যাওযার ভাব বা কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার
কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), দেখা, শোনা।
৬. গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তা-ই গুণবাচক
বিশেষ্য। যথা—মধুর মিষ্টত্বের গুণ— মধুরতা, তরল দ্রব্যের গুণ–তারল্য, তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ— তিক্ততা, তরুণের গুণ-তারুণ্য ইত্যাদি। তদ্রুপ : সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ।
প্রশ্ন ৩: বিশেষণ পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? সংজ্ঞাসহ উদাহরণ
দাও।
উত্তর: যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও
ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন—নীল আকাশ, রূপবান, গুণবান ইত্যাদি।
শ্রেণী বিভাগ: বিশেষণ পদ দুই
প্রকার-১. নাম বিশেষণ ২. ভাব বিশেষণ।
নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে
তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন—সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে? সে রূপবান ও গুণবান।
ভাব বিশেষণ: যে পদ বিশেষ্য
ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তা-ই ভাব বিশেষণ। যেমন—ধীরে ধীরে বায়ু বয়।
ভাব বিশেষণ চার প্রকার—
১. ক্রিয়া বিশেষণ ২. বিশেষণের বিশেষণ ৩. অব্যয়ের বিশেষণ ৪.
বাক্যের বিশেষণ।
১. ক্রিয়া বিশেষণ: যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন-পরে একবার এসো।
২. বিশেষণের বিশেষণ: যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ
বলে। যেমন-সামান্য একটু দুধ দাও। রকেট অতি দ্রুত চলে।
৩. অব্যয়ের বিশেষণ: যে ভাব-বিশেষণ অব্যয়পদ অথবা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষিত করে
তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যথা-ধিক্ তারে শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন।
৪. বাক্যের বিশেষণ: কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যটি বিশেষিত
করতে পারে তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন—দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা
সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন ৪: সর্বনাম কাকে বলে? উদাহরণসহ সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তর : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ
ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে।
যেমন—উর্মি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে
নিয়মিত কলেজে যায়। তার একটি ল্যাপটপ আছে।
সর্বনামকে প্রধানত তিনটি মানদণ্ডের
ভিত্তিতে ভাগ করা যায়। যথা—
১. অর্থগতভাবে ২. অন্বয়গতভাবে ৩. পক্ষভেদে
১. অর্থগতভাবে সর্বনামের
শ্রেণিবিভাগ—
ক. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম বাক্যের পক্ষ বা পুরুষ নির্দেশ করে, তাকে ব্যক্তিবাচক
সর্বনাম বলে। যেমন—আমি, আমার, তুমি তোমার, সে, তোমরা, তারা, তিনি ইত্যাদি।
খ. আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনো কাজ
করেছে—এ ভাবটি জোর দিয়ে বোঝানোর জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে আত্মবাচক
সর্বনাম বলে। যেমন—স্বয়ং নিজে, খোদ, স্ব স্ব, আপনি ইত্যাদি।
গ. পারস্পরিক সর্বনাম : দুই পক্ষের সহযোগ বা পারস্পরিকতা বোঝাতে যে সর্বনাম
ব্যবহৃত হয়, তাকেই পারস্পরিক সর্বনাম বলে। যেমন—পরস্পর পরিচিত। ওরা নিজেরা নিজেরাই সমস্যা
মিটিয়ে ফেলবে।
ঘ. সকলবাচক সর্বনাম : ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের
সমষ্টি বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকেই সকলবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—সবাই কফি খেতে চাচ্ছে। সকলেই
সাহায্য পেয়েছে।
ঙ. অন্যবাচক সর্বনাম : নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে যে
সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকেই অন্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—অপরে পারলে তুমি কেন পারবে না? অন্যের কথা বলো
না।
চ. নির্দেশক সর্বনাম : যে সর্বনাম বক্তার নিকট থেকে কাছের বা দূরের কিছু
নির্দেশ করে, তাকে নির্দেশক সর্বনাম বলে। যেমন—এ, ও, ইনি, উনি ইত্যাদি।
ছ. অনির্দিষ্ট সর্বনাম :
অনির্দিষ্ট বা পরিচয়হীন কোনো কিছু বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করা হয়, তাকে অনির্দিষ্ট
সর্বনাম বলে। যেমন—এখানে কেউ নেই। আমার কিছু বলার নেই।
২. অন্বয়গতভাবে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ—
ক. প্রশ্নবাচক সর্বনাম : প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষ প্রশ্নের জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—কে যাবে? কারা খাবে?
খ. সংযোগবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম দ্বারা দুটি
বাক্যে সংযোগ ঘটানো হয়, তাকে সংযোগবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—হাটে গিয়ে দেখি যে, সে চলে গেছে। আমি
বলি কী, তুই আজ থেকেই যা।
গ. সাপেক্ষ সর্বনাম : পরস্পর নির্ভরশীল যে যুগল
সর্বনাম দুটি বাক্যাংশের সংযোগ ঘটায়, তাদের সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন—যত চাও তত লও। যার কাজ তারই
সাজে। যেমন কর্ম তেমন ফল।
৩. পক্ষভেদে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ—
ক. বক্তাপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা বাক্যের
বক্তা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যেমন—আমি, আমরা, আমাকে, আমাদিগকে, আমার, আমাদের, মোর, মোরা ইত্যাদি।
খ. শ্রোতাপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা বক্তার
সামনে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত শ্রোতা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির
অন্তর্ভুক্ত। যেমন—তুই, তুমি, তোরা, তোকে, তোমার, তোমরা, তোমাকে ইত্যাদি।
গ. অন্যপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা
বক্তার সামনে অনুপস্থিত শ্রোতা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির
অন্তর্ভুক্ত। যেমন—সে, তারা, তাহারা, তাদের, তাহাকে, তিনি, তাঁকে, তাঁরা, তাঁদের ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫: ক্রিয়া বলতে কী বোঝো? উদাহরণসহ ক্রিয়ার
শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তর : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো
কিছু করা, ঘটা, হওয়া ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে।
যেমন—সে হাসছে। বাগানে ফুল ফুটেছে।
এবার বৃষ্টি হবে।
সম্পাদনার দিক থেকে।
ক. সমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া
দ্বারা বাক্যের ভাবের পরিসমাপ্তি ঘটে। যেমন—আমি ভাত খেয়েছি।
খ. অসমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া
দ্বারা বাক্যের ভাবের পরিসমাপ্তি ঘটে না। যেমন—আমি বাড়ি গিয়ে ভাত খাব।
কর্মপদ সংক্রান্ত ভূমিকা অনুসারে :
ক. অকর্মক ক্রিয়া : বাক্যের
অন্তর্গত যে ক্রিয়া কোনো কর্ম গ্রহণ করে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন—সুমন খেলছে।
খ. সকর্মক ক্রিয়া : বাক্যের অন্তর্গত যে
ক্রিয়া মাত্র একটি কর্ম গ্রহণ করে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন—অনি বাগান থেকে ফুল তুলছে।
গ. দ্বিকর্মক ক্রিয়া : বাক্যের
অন্তর্গত যে ক্রিয়া দুটি কর্ম গ্রহণ করে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন—মুন্নি মাসুমকে একটি কলম
দিয়েছে।
ঘ. প্রযোজক ক্রিয়া : কর্তার যে ক্রিয়া অন্যকে
দিয়ে করানো হয়, তাকে প্রযোজক বা নিজন্ত ক্রিয়া বলে।
যেমন—মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
গঠন বৈশিষ্ট্য অনুসারে :
ক. যৌগিক ক্রিয়া : একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে একটি
বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন—ধরে ফেলছে, উঠে পড়ছে, নেমে পড়েছে, খেয়ে ফেলেছে
ইত্যাদি।
খ. সংযোগমূলক ক্রিয়া : বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধনাত্মক শব্দের সাথে সমাপিকা ক্রিয়া যোগ করে যে
ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে সংযোগমূলক ক্রিয়া বলে। যেমন—নাচ করা, গান গাওয়া, মশা মারা, ছেলে ধরা ইত্যাদি।
স্বীকৃতি অনুসারে :
ক. ইতিবাচক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া দ্বারা ইতিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক অর্থ প্রকাশ
পায়, তাকে ইতিবাচক
ক্রিয়া বলে।
যেমন—সীমা এসেছে।
খ. নেতিবাচক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া
দ্বারা নেতিবাচক বা না-বোধক অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে নেতিবাচক ক্রিয়া বলে।
যেমন—রিমা আসেনি।
প্রশ্ন ৬: ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণসহ ক্রিয়া বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তর : যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে
বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—মৌসুমি দ্রুত হাঁটছে। অনিম
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
গঠনের দিক থেকে ক্রিয়া বিশেষণকে দুই
ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
১. একপদী ক্রিয়া বিশেষণ : একটি মাত্র পদ দিয়ে যে ক্রিয়া বিশেষণ গঠিত হয়, তাকে একপদী ক্রিয়া
বিশেষণ বলে। যেমন—আস্তে, জোরে, ধীরে, সহজে, সাগ্রহে, সানন্দে ইত্যাদি।
২. বহুপদী ক্রিয়া বিশেষণ : একের
অধিক পদ দিয়ে যে ক্রিয়া বিশেষণ গঠিত হয়, তাকে বহুপদী ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—আস্তে আস্তে, জোরে জোরে, ধীরে ধীরে, ভয়ে ভয়ে, থেমে থেমে
ইত্যাদি।
অর্থ ও অন্বয়গতভাবে ক্রিয়া বিশেষণকে
পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—
১. ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ : যেভাবে বা যেমনভাবে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে ধরনবাচক
ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—ফাহিম নির্ভয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ডবেগে ঝড়টি
রেলক্রসিং অতিক্রম করেছে।
২. কালবাচক ক্রিয়া বিশেষণ : যে সময়টিতে ক্রিয়া
সম্পন্ন হয়, তাকে কালবাচক ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—তিনি সকালেই বেরিয়ে গেছেন।
সুমি আগামীকাল খুলনা যাবে।
৩. স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ : ক্রিয়া সংঘটনের স্থানকে স্থানবাচক ক্রিয়া
বিশেষণ বলে। যেমন—জেলেরা অনেক আগেই নদীতে নেমেছে। তিনি খুব কষ্ট করে গাছে
চড়েছেন।
৪. সংযোজক ক্রিয়া বিশেষণ : যে ক্রিয়া বিশেষণ একাধিক বাক্যাংশকে সংযুক্ত করে, তাকে সংযোজক
ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন—এখন আমার কোনো কাজ নেই, অবশ্য থাকার কথাও নয়।
৫. না-বাচক ক্রিয়া বিশেষণ : যে ক্রিয়া বিশেষণ
বাক্যকে না-বাচক বৈশিষ্ট্য দেয়। যেমন—আমি আর রাগ করব না। তার সাথে আমার কোনো কথা
হয়নি।
প্রশ্ন ৭: যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও
কি কি? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর : যে শব্দ একটি বাক্যাংশের
সাথে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের
সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজন বলে। যেমন—বাসার কবিতা পড়বে আর বুলবুল
গাইবে গান। মগটা ভালো করে ধর নইলে পানি পড়ে যাবে। অর্থ এবং সংযোজনের ধরন ও
বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যোজন পাঁচ প্রকার। যথা—
১. সাধারণ যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা
বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায়, তাকে সাধারণ যোজক বলে। যেমন—সে ঢাকা যাবে এবং চিড়িয়াখানা
দেখবে।
২. বৈকল্পিক যোজক : যে
যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করা হয়, তাকে বৈকল্পিক
যোজক বলে। যেমন—শরীর ভালো হলে তুমি কাজ করবে নতুবা বসে থাকবে।
৩. বিরোধমূলক যোজক : যে যোজক দ্বারা দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি
দ্বারা প্রথমটির সংশোধন বা বিরোধ নির্দেশ করা হয়, তাকে বিরোধমূলক যোজক বলে। যেমন—তোমাকে টাকা দিতে চাইলাম
কিন্তু নিলে না।
৪. কারণবাচক যোজক : যে যোজক দ্বারা
একটি বাক্যের কারণ হিসেবে অপর একটি বাক্যের সংযোগ ঘটানো হয়, তাকে কারণবাচক
যোজক বলে। যেমন—তুমি বাইরে যাবে না কারণ সেখানে এখন কারফিউ চলছে।
৫. সাপেক্ষ যোজক : পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজকগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তাকে সাপেক্ষ যোজক
বলে। যেমন—যদি পরিশ্রম করো, তবে ফল পাবে।
প্রশ্ন ৮: আবেগ শব্দ বলতে কী বোঝো? উদাহরণসহ এর
শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তর : যে শব্দ বাক্যের অন্য
শব্দের সাথে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশে সহায়তা করে, তাকে আবেগ শব্দ
বলে।
যেমন—আরে, তুমি আবার কখন এলে! উঃ, ছেলেটির কী কষ্ট!
অর্থ প্রকাশ অনুসারে আবেগ শব্দকে
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে এর শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করা হলো
১. সিদ্ধান্তসূচক
আবেগ শব্দ : যে আবেগ শব্দ দ্বারা অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি
ভাব প্রকাশ পায়, তাকে সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন—উঁহু, আমার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়!
২. প্রশংসাবাচক
আবেগ শব্দ : যে আবেগ শব্দ প্রশংসা ও তারিফের
মনোভাব প্রকাশ করে, তাকে প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন—শাবাশ! সামনে এগিয়ে যাও।
৩. বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ : অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব যে আবেগ শব্দ দ্বারা প্রকাশ পায়, তাকে বিরক্তিসূচক
আবেগ শব্দ বলে। যেমন—কী জ্বালা, তোমার যন্ত্রণায় আর বাঁচি না!
৪. ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ : যে আবেগ
শব্দ দ্বারা আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা প্রকাশ পায়, তাকে ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন—উঃ, কী যন্ত্রণা, আর সইতে পারছি না!
৫. বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ : যে আবেগ শব্দ বিস্ময় ও আশ্চর্য হওয়ার
মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন—আরে, তুমি আবার কখন এলে!
৬. করুণাসূচক আবেগ শব্দ : করুণা বা সহানুভূতিমূলক মনোভাব প্রকাশ পায়
যে আবেগ শব্দে, তাকে করুণাসূচক আবেগ শব্দ। যেমন—আহা! ছেলেটার বাবা-মা কেউ নেই।
৭. সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ : সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে যে
আবেগ শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন—ওহে! কোথায় যাচ্ছ?
৮. আলংকারিক আবেগ শব্দ : যে আবেগ শব্দ বাক্যের অর্থের কোনো রকম পরিবর্তন না ঘটিয়ে
কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতিসূচক মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
যেমন—দূর পাগল! এমন কথা কি কেউ বলে?
প্রশ্ন ৯: অব্যয় পদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও
কি কি?
অব্যয় শব্দকে ভাঙলে পাওয়া যায় ‘ন ব্যয়’, অর্থাৎ যার কোন
ব্যয় নেই।
যে পদের কোন ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ
বলে। অর্থাৎ, যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থাকে, যার সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয় না এবং পুরুষ বা বচন বা
লিঙ্গ ভেদে যে পদের রূপের বা চেহারারও কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে।
বাংলা ভাষায় ৩ ধরনের অব্যয় শব্দ
ব্যবহৃত হয়-
১. বাংলা অব্যয় শব্দ : আর, আবার, ও, হাঁ, না
২. তৎসম অব্যয় শব্দ : যদি, যথা, সদা, সহসা, হঠাৎ, অর্থাৎ, দৈবাৎ, বরং, পুনশ্চ, আপাতত, বস্ত্তত।
৩. বিদেশি অব্যয় শব্দ : আলবত, বহুত, খুব, শাবাশ, খাসা, মাইরি, মারহাবা
অব্যয় পদ মূলত ৪ প্রকার-
১. সমুচ্চয়ী অব্যয় :
যে অব্যয় পদ একাধিক পদের বা
বাক্যাংশের বা বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে। এই সম্পর্ক সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন
যে কোনটিই হতে পারে। একে সম্বন্ধবাচক অব্যয়ও বলে।
ক) সংযোজক অব্যয় : উচ্চপদ ও সামাজিক মর্যাদা সকলেই চায়। (উচ্চপদ, সামাজিক মর্যাদা-
দুটোই চায়)
খ) বিয়োজক অব্যয় :
আবুল কিংবা আব্দুল এই কাজ করেছে।
(আবুল, আব্দুল- এদের একজন করেছে, আরেকজন করেনি। এরকম- কিংবা, বা, অথবা, নতুবা, না হয়, নয়তো, ইত্যাদি।
গ) সংকোচক অব্যয় :
তিনি শিক্ষিত, কিন্তু অসৎ।
(এখানে ‘শিক্ষিত’ ও ‘অসৎ’ দুটোই সত্য, কিন্তু শব্দগুলোর মধ্যে সংযোগ ঘটেনি। কারণ, বৈশিষ্ট্য দুটো একরকম নয়, বরং বিপরীতধর্মী।
ফলে তিনি অসৎ বলে তিনি শিক্ষিত বাক্যাংশটির ভাবের সংকোচ ঘটেছে।) এরকম- কিন্তু, বরং, তথাপি, যদ্যপি, ইত্যাদি।
২. অনন্বয়ী অব্যয় : যে সব অব্যয় পদ নানা ভাব বা অনুভূতি প্রকাশ করে, তাদেরকে অনন্বয়ী
অব্যয় বলে। এগুলো বাক্যের অন্য কোন পদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে
বাক্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
উচ্ছ্বাস প্রকাশে : মরি মরি! কী সুন্দর সকাল!
স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি প্রকাশে : হ্যা, আমি যাব। না, তুমি যাবে না।
সম্মতি প্রকাশে : আমি আজ নিশ্চয়ই যাব।
অনুমোদন প্রকাশে : এতো করে যখন বললে, বেশ তো আমি আসবো।
সমর্থন প্রকাশে : আপনি তো ঠিকই বলছেন।
যন্ত্রণা প্রকাশে : উঃ! বড্ড লেগেছে।
৩. অনুসর্গ অব্যয় :
যেসব অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম
পদের বিভক্তির কাজ করে, এবং কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাকে অনুসর্গ অব্যয় বলে। অর্থাৎ, যেই অব্যয়
অনুসর্গের মতো ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন-
ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না। (এখানে ‘দিয়ে’ তৃতীয়া বিভক্তির মতো কাজ করেছে, এবং ‘ওকে’ যে কর্ম কারক, তা নির্দেশ করেছে। এই ‘দিয়ে’ হলো অনুসর্গ অব্যয়।)
৪. অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় :
বিভিন্ন শব্দ বা প্রাণীর ডাককে
অনুকরণ করে যেসব অব্যয় পদ তৈরি করা হয়েছে, তাদেরকে অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। মানুষ আদিকাল থেকেই অনুকরণ প্রিয়। তারা বিভিন্ন ধরনের শব্দ, প্রাকৃতিক শব্দ, পশুপাখির ডাক, যেগুলো তারা
উচ্চারণ করতে পারে না, সেগুলোও উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছে। এবং তা করতে গিয়ে সে সকল শব্দের কাছাকাছি
কিছু শব্দ তৈরি করেছে। বাংলা ভাষার এ সকল শব্দকে বলা হয় অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক
অব্যয়। যেমন-
• বজ্রের ধ্বনি- কড় কড়
• তুমুল বৃষ্টির শব্দ- ঝম ঝম
প্রশ্ন ১০ : অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর : 'অনু' কথাটির
অর্থ পরে বা পশ্চাতে, আর 'সর্গ' মানে
সৃষ্টি বা ব্যবহার। সুতরাং সাধারণভাবে অনুসর্গ বলতে বোঝায় যা পরে ব্যবহৃত হয়।
উপসর্গ যেমন ধাতুর আগে বসে, অনুসর্গ তেমন
পদের পরে বসে। যেসব অব্যয় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে পৃথকভাবে বসে শব্দ বিভক্তির
মতো তাদের কারক-সম্বন্ধ নির্ধারণ করে, তাদের অনুসর্গ
বলা হয়। কেবল বিভক্তির মতো কারক-সম্বন্ধ নির্দেশ করলে তবেই তাদের অনুসর্গ বলে।
অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য ১. অনুসর্গ অব্যয় পদ। এগুলোর অর্থ আছে।
২. অনুসর্গ শব্দের পরে বসে ওই শব্দের সঙ্গে পরবর্তী শব্দের সম্পর্ক সৃষ্টি করে।
৩. বিভক্তি দিয়ে যেমন : কারক চেনা যায়, তেমনি অনুসর্গ দিয়েও কারক চেনা যায়।
৪. অব্যয়গুলোর নিজস্ব অর্থ থাকায় সেগুলো পৃথকভাবে ব্যবহৃত হলে অনুসর্গ হয় না।
৫. অনুসর্গের পূর্ব পদটি বিশেষ্য হলে সেটি বিভক্তিযুক্ত হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে।
৬. অনুসর্গ বিভক্তির মতো কাজ করে।
৭. কতগুলো অনুসর্গ শব্দ-বিভক্তির মতো ব্যবহৃত হয়ে কারক নির্ণয়ে সাহায্য করে। এগুলো হচ্ছে : হইতে, হতে, চেয়ে, দ্বারা,
৮. অনুসর্গের ব্যবহার কোনো কোনো সাধু ও চলিত ভাষারীতির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রূপ হতে পারে।
অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা ক. অনুসর্গগুলো বাংলা ভাষায় বিভক্তির কাজ করে। এ জন্য বাক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন : ধনের চেয়ে মন
খ. অনুসর্গগুলো বাক্য গঠনে সহায়তা করে। অনুসর্গ ছাড়া বাক্য গঠন সম্ভব হয় না। যেমন : দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
গ. বাংলা ভাষায় অভাব, তুলনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করতে অনুসর্গের প্রয়োজন। যেমন : হাসেমের চেয়ে কাশেম লম্বা।
ঘ. অনুসর্গ ছাড়া কারকের অর্থ প্রকাশ পায়
না। যেমন : করণ কারকের দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক
ইত্যাদি শব্দ, সম্প্রদান কারকে নিমিত্ত, হেতু
ইত্যাদি, অপাদানে হইতে, হতে, থেকে, থাকতে
ইত্যাদি
0 Comments